➡পারমার্থিক গুরু ও শিষ্য
➡শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৪/৩৪
তদ্ বিদ্ধি প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্নেন সেবয়া।
উপদেক্ষ্যন্তি তে জ্ঞানম্ জ্ঞানিনঃ তত্ত্ব দর্শিনঃ।।
➡অনুবাদ - সদগুরুর শরণাগত হয়ে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করার চেষ্টা কর। বিনম্র চিত্তে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা কর এবং অকৃত্রিম সেবার দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট কর; তা হলে সেই তত্ত্বদ্রষ্টা পুরুষ তোমাকে জ্ঞান উপদেশ দান করবেন।
➡তাৎপর্য - সদগুরুর সন্তুষ্টি বিধান করার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জীবনে উন্নতি লাভ করা যায়। আত্মোৎসর্গ এবং সেবা না করে কেবল প্রশ্ন করে কখনই এই তত্ত্বজ্ঞান লাভ করা যায় না। গুরুদেব পরীক্ষা করে দেখেন শিষ্যের মধ্যে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করার বাসনা কতটা প্রবল হয়েছে, এবং এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেই গুরুদেব তাঁর শিষ্যকে পরম তত্ত্বজ্ঞান লাভ করার আশির্বাদ দান করেন। এখানে অন্ধের মতো অনুকরণ অথবা মূঢ়ের মতো নিরর্থক প্রশ্ন করার নিন্দা করা হয়েছে। শিষ্য কেবল শ্রদ্ধা সহকারে গুরু প্রদত্ত উপদেশই গ্রহণ করে, তা নয়; তাঁকে আত্মোৎসর্গ এবং গুরুদেবের ঐকান্তিক সেবা করার মাধ্যমে এই জ্ঞানের মর্ম উপলব্ধি করতেও হবে। সদগুরু সর্বদাই তাঁর শিষ্যের প্রতি অত্যন্ত কৃপাপরায়ণ। তাই শিষ্য যখন বিনীত, আজ্ঞানুবর্তী সেবায় সর্বতোভাবে তৎপর হয়, তখন জ্ঞান এবং জিজ্ঞাসার বিনিময় পূর্ণ হয়।

0 Comments