➡ইন্দ্রিয় সংযম
মাত্রা স্পর্শাঃ তু কৌন্তেয় শীতোষ্ণ সুখ দুঃখদাঃ।
আগমাপায়িনো অনিত্যাঃ তান্ তিতিক্ষস্ব ভারত।।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২/১৪
➡অনুবাদ - হে কৌন্তেয়, ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের সংযোগের ফলে অনিত্য সুখ এবং দুঃখের অনুভব হয়, সেগুলি ঠিক যেন শীত এবং গ্রীষ্ম ঋতুর গমনাগমনের মতো। হে ভরতকুল প্রদীপ, সেই ইন্দ্রিয়জাত অনুভূতির দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সেগুলি সহ্য করার চেষ্টা কর।
➡তাৎপর্য - মানব জীবনের প্রকৃত কর্তব্য সম্পাদন করতে হলে মানুষকে সহনশীলতার মাধ্যমে বুঝতে হবে, সুখ এবং দুঃখ কেবল ইন্দ্রিয়ের বিকার মাত্র, বেদে নির্দেশ দেওয়া আছে, খুব সকালে স্নান করা উচিত। যে শাস্ত্রের অনুশাসন মেনে চলে, সে মাঘ মাসের প্রচণ্ড শীতেও খুব ভোরে স্নান করতে ইতস্তত করে না। তেমনেই, গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমেও গৃহিনীরা রান্না করা থেকে বিরত থাকেন না। আবহাওয়াজনিত অসুবিধা সত্ত্বেও মানুষকে তার কর্তব্যকর্ম করে যেতেই হয়।

0 Comments